চট্টগ্রামেও মেট্রোরেল করার সিদ্ধান্ত , প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে প্রকল্প অনুমোদন

চট্টগ্রামেও মেট্রোরেল করার সিদ্ধান্ত , প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে প্রকল্প অনুমোদন
চট্টগ্রামেও মেট্রোরেল করার সিদ্ধান্ত , প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে প্রকল্প অনুমোদন

পোস্টকার্ড নিউজ।।

চট্টগ্রামেও মেট্রোরেল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

এই প্রকল্পে ৭০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা খরচ করে চট্টগ্রাম মহানগরী ও সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট কমাতে ও পরিবেশ উন্নয়নে একটি পরিবহন মাস্টারপ্ল্যান করবে সরকার। পাশাপাশি মেট্রোরেলের জন্য প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে।

মেট্রোরেলের জন্য প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই করার এই প্রকল্প শুরু হয়েছে ২০২২ সালের অক্টোবরে। শেষ হবে ২০২৫ সালের মার্চে মাসে।

বাংলাদেশের পরিকল্পনা বিভাগের করা এই প্রকল্পের পটভূমিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম মহানগরীর যানজট পরিস্থিতি উন্নয়নের বিভিন্ন সংস্থা নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু কোনো সমন্বিত পরিবহন পরিকল্পনা নেই। ফলে বিচ্ছিন্নভাবে নেয়া প্রকল্পে জনদুর্ভোগ কমানো যায়নি। তাই এই নতুন প্রকল্প নেয়া হয়েছে।

এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে চট্টগ্রাম মহানগর এলাকার জন্য পরিবহন মহাপরিকল্পনা প্রস্তুত করা, যানজট হ্রাস ও চট্টগ্রাম মহানগরীর জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য পরিবেশবান্ধব মেট্রো সিস্টেম প্রণয়ন করা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানো।

প্রকল্পের ৭০ কোটি ৬৩ লাখ টাকার মধ্যে সরকার দেবে ১৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আর এই প্রকল্পে অনুদান পাওয়া যাবে ৫৭ কোটি টাকা। অনুদান দেবে কোরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি কেওআইসিএ।

মঙ্গলবার একনেক ৪ হাজার ৮২৬ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত আটটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ২ হাজার ৩৪১ কোটি ২ লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন ২ হাজার ২০৭ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ২৭৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

প্রধানমন্ত্রী এবং একনেকের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শেরে বাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো: সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ৩টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘কুমিল্লা সড়ক বিভাগাধীন ৪টি জেলা মহাসড়ক যথাযথমান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্প; ‘লেবুখালী-বাউফল-গলাচিপা-আমড়াগাছিয়া জেলা মহাসড়কের (জেড-৮৮০৬) ৭০তম কিলোমিটারে রাবনাবাদ নদীর উপর গলাচিপা সেতু নির্মাণ’ প্রকল্প এবং ‘চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় নগর মেট্রো রেল ট্রানজিট নির্মাণের প্রাকসম্ভাব্যতা যাচাই ও ট্রান্সপোর্ট মাস্টারপ্ল্যান’ প্রকল্প; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘উপকূলীয় শহর জলবায়ু সহিষ্ণু’ প্রকল্প; ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘কারা নিরাপত্তা আধুনিকায়ন, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগ (১ম সংশোধিত) (৫ম বার মেয়াদ বৃদ্ধি)’ প্রকল্প; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবকাঠামো উন্নয়ন (ইনফো-সরকার ৩য় পর্যায়) (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্প।

পরিকল্পনা কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয়সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা সভার কার্যক্রমে অংশ নেন।

সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজির মুখ্য সমন্বয়ক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;