চকরিয়ায় নির্যাতিতা মা ও দুই মেয়ের জামিন, চেয়ারম্যান আত্মগোপনে - আটক ৩

চকরিয়ায় নির্যাতিতা মা ও দুই মেয়ের জামিন, চেয়ারম্যান আত্মগোপনে - আটক ৩
নির্যাতিত মা ও মেয়ে -ফেসবুক থেকে নেওয়া ছবি

চকরিয়া প্রতিনিধি ।।  

গরু চুরির অপবাদ দিয়ে মা ও তার ২ মেয়েসহ ৫ জনকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করেছে।

তারা হলেন- হারবাং ইউনিয়নের বৃন্দাবনখিল গ্রামের এমদাদ হোসেনের ছেলে জসিম উদ্দিন (৩২) ও নির্যাতনের শিকার নারীদের বিরুদ্ধে গরু চুরি মামলার বাদি মাহবুবুল হকের ছেলে নজরুল ইসলাম (২০) ও জিয়াবুল হকের ছেলে নাছির উদ্দিন (২৮)।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, আটকদের সোমবার চকরিয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

অন্যদিকে কথিত গরু চুরি মামলার আসামি ও নির্যাতনের শিকার মা পারভীন বেগম (৪০), মেয়ে সেলিনা আক্তার (২৮) ও রোজিনা আক্তারকে (২৫) জামিনে মুক্তি দিয়েছেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রাজীব কুমার। সোমবার সিনিয়র আইনজীবী ইলিয়াস আলী তাদের জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। অন্য দুই আসামির জামিন হয়নি। তারা হলেন- পারভীন আক্তারের ছেলে মোহাম্মদ আরমান (৩০) ও তাদের আত্মীয় পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ ছুট্টু (৩৮)।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নির্যাতনের শিকার নারীদের পক্ষ থেকে কেউ মামলা দায়ের করেনি। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর মামলা দায়ের করতে আসলে তাদের সব ধরণের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।

অন্যদিকে মা-মেয়ে নির্যাতনের ঘটনা সংবাদপত্র ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর ঘটনায় জড়িত অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম মিরানসহ অনেকে আত্মগোপনে রয়েছেন। এ ঘটনায় রোববার স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা রেকর্ড করেন চকরিয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মতিউল ইসলামকে ঘটনার তদন্ত করে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এছাড়াও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ রোববার ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেছেন। অন্যদিকে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন। তদন্ত কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক শ্রাবস্তি রায়কে।