ঘরের সৌন্দর্য্যে আসবাবপত্রের কোন বিকল্প নেই,যত্নে থাকুক কাঠের আসবাব!

ঘরের সৌন্দর্য্যে আসবাবপত্রের কোন বিকল্প নেই,যত্নে থাকুক কাঠের আসবাব!
ঘরের সৌন্দর্য্যে আসবাবপত্রের কোন বিকল্প নেই,যত্নে থাকুক কাঠের আসবাব!

লাইফস্টাইল ডেস্ক।।

আসবাবপত্রের কোন বিকল্প নেই ঘরের সৌন্দর্য্যে । আর কাঠের আসবাবের আবেদনটাই অন্যরকম। তবে ঠিকমতো যত্নআঁতি না করলে শখের আসবাব দ্রুত পুরনো হয়ে যায়। কিছু নিয়ম মেনে যত্ন নিলে অনেকদিন পর্যন্ত ঘরের শোভা বাড়াবে কাঠের আসবাব।

বিশেষ করে কাঠের টেবিলের উপর সরাসরি খুব গরম ডিশ রাখবেন না। এতে কাঠের ক্ষতি হয় এবং হিট স্টেন পড়ে যায়। তাই সব সময় টেবিল ম্যাট এবং কোস্টার ব্যবহার করুন। টেবিলে যদি হিট স্টেন পড়েই যায়, তা হলে ব্যবহার করুন কিছুটা টুথপেস্ট এবং বেকিং সোডা।

মিশ্রণটি দাগের উপরে হালকা ঘষে লাগিয়ে রেখে দিন। কিছুক্ষণ পর মুছে ফেলুন। কয়েক বার এই মিশ্রণটি ব্যবহার করলে সাদা ভাব কমে যাবে।

টেবিলের অন্যান্য দাগ পরিষ্কার করতে একটি নরম কাপড়ে সামান্য লেবুর রস লাগিয়ে ঘষে নিন। কিছুক্ষণ পর পানি দিয়ে মুছে ফেলুন।

কাঠের আসবাবের জেল্লা ফেরাতে একটি পাত্রে অলিভ অয়েল এবং লেবুর রস মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। সপ্তাহে একবার এটি দিয়ে কাঠ মুছলে চাকচিক্য ফিরবে। আলমারিতে ন্যাপথালিন, কর্পুর রেখে দিন।

এ ছাড়া মাসে একবার এক কাপ নারকেল তেলে কিছুটা কর্পূরের গুঁড়ো মিশিয়ে কাঠের ফার্নিচারের কোণায় দিয়ে দিন। এতে পোকামাকড় কম আসবে। বাড়িতে পুরোনো কাঠের আলমারির ড্রয়ার খুলতে অসুবিধা হলে তার চারপাশে মোম ঘষে দিন। খুলতে সুবিধা হবে। শৌখিন কাঠের আসবাবে যেন সরাসরি রোদ না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখুন।কারণ রোদের তাপে আসবাব বিবর্ণ হয়ে যায়। কাঠের মেঝেতে পাপোশ ব্যবহার করুন। এ ধরনের মেঝের উপর ভারি কিছু জোরে টানবেন না। এতে ফ্লোরে স্ক্র্যাচ পরতে পারে।

কাঠের ফ্লোরের দাগ তুলতে পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে একটি নরম কাপড় দিয়ে মুছে নিন।