করোনা ছড়িয়েছে ১৫ জেলায়, ঢাকায় আক্রান্ত ৬৪: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

করোনা ছড়িয়েছে ১৫ জেলায়, ঢাকায় আক্রান্ত ৬৪: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
করোনা ছড়িয়েছে ১৫ জেলায়, ঢাকায় আক্রান্ত ৬৪: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

দেশের ১৫ জেলায় করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ। তিনি জানান, সারাদেশে ১২৩ জন ব্যক্তির শরীরে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৪ জনই ঢাকায় বসবাসকারী। এর পরের অবস্থানে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ। সেখানে  শনাক্তের সংখ্যা ২৩ জন। আর সারাদেশে ১৫ জেলার করোনা রোগী পাওয়া গেছে।

সোমবার করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাই প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য দেন। জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) ডা. হাবিবুর রহমান ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।  

ডা. আবুল কালাম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৪০১১। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৬৮ নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫ জনে শনাক্ত হয়েছেন। এই ১২৩ জনের মধ্যে এই মুহূর্তে আইইডিসিআর’র কাছে তথ্য আছে ১২১ জনের। এর মধ্যে ঢাকায় ৬৪, নারায়ণগঞ্জে ২৩, মাদারীপুরে ১১, চট্টগ্রামে ২, কুমিল্লায় ১, গাইবান্ধায় ৫, চুয়াডাঙ্গায় ১, গাজীপুরে ১, জামালপুর ৩, শরীয়তপুরে ১, কক্সবাজারে ১, নরসিংদীতে ১, মৌলভীবাজারে ১, সিলেটে ১, রংপুরে ১  এবং ঢাকার মহানগরীর বাইরে চার উপজেলায় ৪ জন করোনায় আক্রান্ত। সবমিলিয়ে এখন বাংলাদেশে ১৫টি জেলায় করোন শনাক্ত করা হয়েছে। তবে যে জায়গায় একাধিক রোগী আছে সেটাকে ক্লাস্টার বলা হয়।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এই মুহূর্তে ঢাকা মহানগরী, গাইবান্ধা, নারায়ণগঞ্জ ও মাদারীপুর এলাকাকে ক্লাস্টার বলা হচ্ছে।

ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে চলেছে। একস্থানে সীমাবদ্ধ নেই। করোনার উপসর্গ পেলে কেউ অবহেলা করবেন না। সম্ভব হলে বাসায় বসে চিকিৎসা নেবেন। কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন বলে সন্দেহ হলে আমাদের হটলাইনে যোগাযোগ করবেন। আমাদের কর্মীরা বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করবেন।’

তিনি সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘কর্মীরা নমুনা সংগ্রহ করতে গেলে অনেকেই বাধা প্রদান করেন। অনেকেই ক্ষেত্রে অনেকেই ভুল বোঝেন। আমরা নমুনা সংগ্রহ করছি, পরিস্থিতি বোঝার জন্য। নমুনা সংগ্রহ করা মানেই ওই ব্যক্তি করোনা পজেটিভ (আক্রান্ত) না। যাদের পজেটিভ হবে, তাদের বিষয়ে আমরা জানিয়ে দিবো।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ জন। একদিনে মারা গেছেন ৩ জন।