করোনা চিকিৎসায় দেশে প্রথম রেমডেসিভির উৎপাদন করল এসকেএফ

করোনা চিকিৎসায় দেশে প্রথম রেমডেসিভির উৎপাদন করল এসকেএফ
করোনা চিকিৎসায় দেশে প্রথম রেমডেসিভির উৎপাদন করল এসকেএফ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

প্রাণঘাতী মহামারি করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য কার্যকরী ঔষধ হিসেবে পরিচিত রেমডিসিভির উৎপাদন করেছে বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ঔষধ কোম্পানি এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস।

শুক্রবার সকাল থেকে উৎপাদন শেষে বাজারজাতকরণের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রথম আলো অনলাইনের এক খবরে এসকেএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিমিন হোসেনের বরাত দিয়ে বলা হয়, "করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট এই–পরিস্থিতিতে আমরা দেশবাসীকে এই সুখবর দিতে চাই যে, বিশ্বে করোনার একমাত্র কার্যকর ওষুধ বলে স্বীকৃত জেনেরিক রেমডেসিভির উৎপাদনের সব ধাপ আমরা সম্পন্ন করেছি।"

এসকেএফের উৎপাদন করা রেমডেসিভিরের বাণিজ্যিক নাম দেওয়া হয়েছে 'রেমিভির'।

সিমিন হোসেন আরও বলেন, "ওষুধ প্রশাসন গত মার্চ মাসে ওষুধটি ব্যবহারের অনুমতি দেয়। ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদনের পরপরই আমাদের ফর্মুলেশন বিজ্ঞানীরা মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে রেমডেসিভির নিয়ে কাজ শুরু করেন। যেহেতু এটি একটি শিরায় দেওয়া ইনজেকশন, সে কারণে এর উৎপাদনে সূক্ষ্ম প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। দুই মাস ধরে এসকেএফের কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমের ফলেই এত কম সময়ে এটা উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। ওষুধের মূল উপাদান সরবরাহকারীদের সঙ্গে চুক্তি করে পর্যাপ্ত কাঁচামালের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করেছি আমরা।"

করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি কার্যকারিতা দেখিয়েছে মার্কিন প্রতিষ্ঠান গিলিয়েড সায়েন্সেস কোম্পানির তৈরি ওষুধ রেমডেসিভির।

গিলিয়েডের নিজস্ব পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই ওষুধ ব্যবহারে রোগীদের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। মানুষের শিরায় ইনজেকশন হিসেবে এই ওষুধ প্রয়োগ করতে হয়। রোগের তীব্রতার ওপর এর ডোজ নির্ভর করে। গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জন্য ৫ অথবা ১০ দিনের ডোজ প্রয়োজন হতে পারে।