কর্ণফুলী নদীতে সাম্পান মাঝিদের অনশন, ঘাট ফিরিয়ে দিতে ৭ দিনের আল্টিমেটাম

কর্ণফুলী নদীতে সাম্পান মাঝিদের অনশন, ঘাট ফিরিয়ে দিতে ৭ দিনের আল্টিমেটাম
কর্ণফুলী নদীতে সাম্পান মাঝিদের অনশন

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ সত্ত্বেও জন্মগত পেশাদার পাটনিজীবী (সাম্পান মাঝি) সমিতিকে ঘাট ইজারা না দেওয়ার প্রতিবাদে নিজেদের সাম্পান নিয়ে কর্ণফুলী নদীতে অনশন করছে আটটি মাঝিদের সংগঠন। এসময় নেতৃবৃন্দ এক সপ্তাহের মধ্যে ঘাট ফিরিয়ে দেয়া না হলে সিটি কর্পোরেশন ঘেরাও ও আমরণ অনশন কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।  

মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) সকাল থেকে নগরীর সদরঘাটে নিজেদের সাম্পান নিয়ে নদীতে অনশন করছে তিন শতাধিক সাম্পান মাঝি।

মাঝিদের অনশনের কারণে সন্ধ্যা পর্যন্ত সব সাম্পানঘাট বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানান কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন সভাপতি এসএম পেয়ার আলী।

জানা যায়, গত পহেলা বৈশাখ পেশাগত সাম্পান মাঝি (পাটনিজীবী) থেকে ঘাট কেড়ে নিয়ে পাটনীজীবী নীতিমালা লঙ্ঘন করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের ইজারা দেয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম। ঘাটহারা মাঝিরা অনিয়মের বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।

উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৯ এপ্রিল ২০২০ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রশাসন-২ শাখা কর্তৃক পাঠানো চিঠিতে উপসচিব মোহাম্মদ ফজলে আজিম পেশাদার জন্মগত পাটনিজীবী সমিতিকে ঘাট ইজারা দেওয়ার জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

তৎকালীন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ঘাট মাঝিদের ইজারা দেওয়ার অনুরোধ জানালেও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা এই বিষয়ে পুনঃরায় আইনি মতামতের জন্য নির্দেশনাটি চসিক আইন কর্মকর্তার নিকট পাঠান। এরপর বিগত ছয় মাসেও মাঝিদের ঘাট ফিরিয়ে দেয়নি চসিক। করোনার কারণে সাম্পান মাঝিরা এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত। তার ওপর নিজেদের ঘাট হারিয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন হাজারো সাম্পান মাঝি।