ঈদের দিন নির্জন পড়ে আছে ২৭০ বছরের ইতিহাস গড়া ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দান!

ঈদের দিন নির্জন পড়ে আছে ২৭০ বছরের ইতিহাস গড়া ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দান!

পোস্টকার্ড প্রতিবেদক।।

২৭০ বছরের ইতিহাসে এ যেন এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। প্রথমবারের মতো ঈদের দিন নির্জন পড়ে আছে ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দান! যা এর আগে কেউ হয়তো কখনো ভাবেইনি।প্রাণঘাতী করোনা পরিস্থিতির কারণে মানুষ আজ তাই তাই ঘটতে দেখল।

লাখো মানুষের পদচারণায় মুখর থাকার কথা ছিল যে ময়দান, মহামারি করোনা বদলে দিয়েছে ২৭০ বছরের সেই ইতিহাস। এই প্রথমবারের মতো নির্জনতা নিয়ে একটি ঈদের সকাল পার করল শোলাকিয়া। 

১৯২ বছর আগে শোলাকিয়ায় ঈদের বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এরও দুশো বছর আগে থেকে এখানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিবছর শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠানে নেয়া হয় ব্যাপক প্রস্তুতি। বিশেষ করে ঈদুল ফিতরে দেশ-বিদেশের তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ মুসল্লি একসঙ্গে শোলাকিয়ার বিশাল প্রান্তরে নামাজ পড়েন। এখানে একটি মাত্র জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বিশাল প্রান্তরে সব মুসল্লি যাতে নামাজ শুরুর মুহূর্তটি জানতে পারেন, সেজন্য নামাজ শুরুর আগে বেশ কয়েকবার বন্দুকের গুলি ছোড়া হয়। সব শেষে জামাত শুরুর এক মিনিট আগে গুলি ছুড়ে চূড়ান্ত প্রস্তুতি ঘোষণা করা হয়।

লাখো মুসল্লির নিরাপত্তায় থাকে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশসহ বিপুলসংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী। তবে এবার সব আয়োজন থামিয়ে দিয়েছে অদৃশ্য করোনা।

উল্লেখ্য, বারো ভূঁইয়াদের অন্যতম প্রতাপশালী বীর ঈশা খাঁর ১৬তম বংশধর দেওয়ান মান্নান দাঁদ খান ১৯৫০ সালে শোলাকিয়া ঈদগাহটি ওয়াকফ্ করেন। তারও দুশো বছর আগে থেকে শোলাকিয়া মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বলে উল্লেখ আছে ওই ওয়াকফ দলিলে। ১৮২৮ সালে ঈদুল ফিতরের বড় জামাতে এ মাঠে প্রথম ১ লাখ ২৫ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়ালাখিয়া’। যা এখন শোলাকিয়া।