আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এনামুল হকের দাফন সম্পন্ন

আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এনামুল হকের দাফন সম্পন্ন
আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এনামুল হকের দাফন সম্পন্ন

বিশেষ প্রতিবেদক , ঢাকা ।।

দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্প প্রতিষ্ঠান আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এম এনামুল হকের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (২ এপ্রিল) সকাল ১০টায় গুলশান সোসাইটি মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপরে মসজিদ সংলগ্ন বনানী কবরস্থানে তার দাফন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। মহান এই ব্যবসায়ীর জানাজায় পরিবার সদস্য আত্মীয়-স্বজনসহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

দেশের আবাসন ব্যবসা খাতের অন্যতম এ পথিকৃতের জানাযার আগ মুহূর্তে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য এবং মরহুমের জন্য দোয়া চেয়ে নেন তার দুই সন্তান আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রমজানুল হক নিহাদ এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুল হক নাবিল। এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান।

জানাজায় অংশ নেন ইউনিক গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূর আলী, ইউনাইটেড গ্রুপের উপদেষ্টা আবুল কালাম আজাদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক-ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিরা। 

এর আগেই সকালে মরহুমের বাসভবনে যান বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর, রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মুকুল, মাগুরা গ্রুপের পরিচালক নাবিলসহ বিশিষ্টজনেরা। 

শনিবার দিবাগত রাত ১১টা ১৮ মিনিটে রাজধানীর গুলশানের নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এম এনামুল হক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

আলহাজ এম এম এনামুল হক ১৯৫৮ সালের ১ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার দক্ষিণ মেদেনিমন্ডল গ্রামে সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। দেশের অন্যতম আবাসন শিল্প প্রতিষ্ঠান আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সফল এই ব্যবসায়ী ইসলামের খেদমতসহ নানা সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

এম এম এনামুল হকের নিজ হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ ১৯৯৩ সাল থেকে দেশের জনসাধারণের আবাসিক সমস্যার সমাধান, সামাজিক দায়িত্ব পালন, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং একই সঙ্গে চৌকস কর্মী বাহিনী তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। 

তিনি বাংলাদেশের আবাসন শিল্প খাতের পথিকৃৎদের একজন। তিনি মিডিয়া উদ্যোক্তা হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেন। ইসলাম প্রসারে বহু মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন তিনি। দেশের কর্মসংস্থানে তার ব্যাপক অবদান কখনো ভোলার নয়।

খালেদ / পোস্টকার্ড;