যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ড আবেদনে ৬০ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেবেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ড আবেদনে ৬০ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেবেন ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের টুইট নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার এর বিশদ ব্যাখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এসময় তিনি জানান, তার পরিকল্পনার আওতায় ৬০ দিন ব্যাপী এই নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা হবে। যারা যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য গ্রিন কার্ডের আবেদন করবেন শুধুমাত্র তাদের ক্ষেত্রেই এটি কার্যকর করা হচ্ছে। অস্থায়ী ভিসা নিয়ে যারা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন তাদের ক্ষেত্রে এটি কোনো প্রভাব ফেলবে না। 

এর আগে গত সোমবার অভিবাসন বন্ধ করার ঘোষণা সম্বলিত এক টুইট বার্তা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। 'মহামারির প্রেক্ষিতে বিপর্যস্ত অর্থনীতি এবং সংকুচিত শ্রমবাজারের অবস্থানের কারণে তিনি অভিবাসী স্রোত ঠেকাতে চান। এর মাধ্যমে প্রকৃত নাগরিকদের কর্মসংস্থান রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব' বলেও জানান তিনি। 

তবে সেখানে বিশদ ব্যাখ্যা না থাকায় তা দেশটির প্রবাসী জনসংখ্যার মাঝে আতঙ্ক ও সংশয় ছড়িয়ে পড়ে। 

এই প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজের করোনাভাইরাস বিষয়ক টাস্ক ফোর্সের দৈনিক সংবাদ সম্মেলনে নিজ ঘোষণার ব্যাখ্যা দেন ট্রাম্প। 

এসময় তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে কর্মহীন হয়ে পড়া আমেরিকানদের সুরক্ষা দেওয়াই তার এ পরিকল্পনার লক্ষ্য।

অস্থায়ী ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত ব্যক্তিদের ওপর এই সিদ্ধান্তের কোনো প্রভাব পড়বে না। খবর বিবিসির

যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস মহামারিতে এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতিতে অবহেলার অভিযোগ শুরু থেকেই আছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। তাই মার্কিন প্রেসিডেন্টের সমালোচকরা একে তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা থেকে জনতার দৃষ্টি অন্যদিকে সরানোর প্রয়াস বলে দাবি করেছেন।

এই প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে ইতোমধ্যেই, চীন থেকে শুরু করে জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছেন তিনি। 

এর আগে চীনের বিরুদ্ধে ইচ্ছে করে কোভিড-১৯ জীবাণু ছড়ানোর অভিযোগ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হুমকি হয়েছেন কঠিন পরিণতির। অন্যদিকে দায়িত্বে অবহেলা ও চীনের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে বন্ধ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে দেওয়া মার্কিন সরকারের অনুদান। 

নির্বাচনী বছরে এসব কিছুকেই ট্রাম্পের রাজনৈতিক কৌশল বলে দাবি করছে বিরোধী ডেমোক্র্যাট দল এবং নির্দলীয় পর্যবেক্ষকরা।