করোনার পরিস্থিতি চট্টগ্রামে আশংকাজনক অবনতি ঘটায় বিশিষ্ট নাগরিকদের উদ্বেগ

করোনার পরিস্থিতি চট্টগ্রামে আশংকাজনক অবনতি ঘটায় বিশিষ্ট নাগরিকদের উদ্বেগ
চট্টগ্রামে করোনা পরিস্থিতি আশংকাজনক অবনতি ঘটায় বিশিষ্ট নাগরিকদের উদ্বেগ

পোস্টকার্ড ডেস্ক।।

করোনা পরিস্থিতি চট্টগ্রামের আশংকাজনক অবনতি ঘটায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ। গত মঙ্গলবার এক যুক্ত বিবৃতিতে তাঁরা বলেন- এই পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৯৯৫ জন। কিন্তু টেস্টের অপ্রতুলতার কারণে অসংখ্য মানুষ সংক্রমণ শণাক্তের বাইরে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এ অবস্থায় সরকারি উদ্যোগে করোনা চিকিৎসার জন্যে যে হাসপাতালগুলো নির্ধারিত হয়েছে তাতে রোগির অত্যধিক চাপে সেখানে কোন আসনখালি নেই। নতুন ঘোষিত হাসপাতালগুলো পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে চালু করা যাচ্ছে না বলে সরকারি মহলের লোকজনই বলছেন। ডাক্তারসহ সেবাকর্মীদের জন্যে পর্যাপ্ত জীবন সুরক্ষা সামগ্রী ও মানসম্পন্ন আলাদা বাসস্থানের ব্যবস্থাও হয়নি। আমাদের জানামতে এখনও পর্যন্ত ৩৩০ টি বেড এবং মাত্র ১০টি আইসিইউ দিয়ে চট্টগ্রামে করোনা যুদ্ধ মোকাবেলা করা হচ্ছে।

এই অবস্থায় সরকার সবকিছু স্বাভাবিক করে জনজীবন সচল করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, এতে পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটবে। এ অবস্থায় আমরা চট্টগ্রামে করোনা চিকিৎসার সুবন্দোবস্ত করতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। একই সঙ্গে দাবি জানাচ্ছি, মানুষ যেন অন্তত মৃত্যুর আগে নুন্যতম চিকিৎসা সেবা পায়। এজন্য কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব সরকারের বিবেচনার জন্য তুলে ধরছি – সকল সরকারি/প্রাইভেট হাসপাতাল- ক্লিনিক রিক্যুইজিশন করে সরকারি খরচে চিকিৎসা নিশ্চিত করা জরুরি। করোনা চিকিৎসার জন্য সরকার ঘোষিত হাসপাতালগুলো অবিলম্বে চালু করতে হবে। করোনা চিকিৎসার সকল হাসপাতাল জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। ব্যাপকহারে টেস্ট বাড়াতে হবে। বিশেষ করে শহরের বিভিন্ন শ্রমিক অঞ্চলে টেস্ট সহজলভ্য করে দিতে হবে।

উল্লেখিত দাবির সাথে আমরা নিম্নস্বাক্ষরকারীগণ একমত হয়ে সরকারের কাছে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে সংবাদপত্রের মাধ্যমে আহ্‌বান জানাচ্ছি। বিশ্বমহামারির এই সময়ে মানুষকে বাঁচাতে হলে রাষ্ট্র ও সমাজের সবটুকু সামর্থ ও ক্ষমতাকে কাজে লাগাতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখিত পদক্ষেপ নেয়া না হলে আমরা আরও গুরুতর মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবো। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন- কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন, গবেষক মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া, লেখিকা ফেরদৌস আরা আলীম, অ্যাডভোকেট সালাহউদ্দিন হায়দার,অ্যাডভোকেট ভুলন ভৌমিক,অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী,কমরেড অশোক সাহা,কমরেড অপু দাশগুপ্ত,ডা. চন্দন দাশ,ডা. সুশান্ত বড়ুয়া, সাবেক কাউন্সিলর বিজয় কৃষাণ চৌধুরী, অধ্যাপক কুন্তল বড়ুয়া প্রমুখ।