সীতাকুণ্ডের দরিদ্র জনগোষ্ঠির মাঝে ১০ টাকা কেজি চাল বিক্রি শুরু

সীতাকুণ্ডের দরিদ্র জনগোষ্ঠির মাঝে ১০ টাকা কেজি চাল বিক্রি শুরু

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি।।

সীতাকুণ্ড পৌরসভার দরিদ্র জনগোষ্ঠির মাঝে খোলা বাজারে ১০ টাকা দরে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় পৌর সদর কলেজ রোড মোড়ে বিক্রির উদ্বোধন করা হয়। দিনমজুর, রিক্সাচালক, ভ্যানচালক, পরিবহন শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, চায়ের দোকানদার, ভিক্ষুক, ভবঘুরে, তৃতীয়লিঙ্গ (হিজরা) সম্প্রদায়সহ অন্যান্য সকল কর্মহীন মানুষ এই বিশেষ ভ্রাম্যমাণ ওএমএস কর্মসূচির আওতায় থাকবে। একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি ভোক্তা হিসেবে নির্বাচিত হবেন না।

এছাড়া, উক্ত পরিবারের কেউ যদি খাদ্য বান্ধব অথবা ভিজিডি কর্মসূচির উপকারভোগী হয়ে থাকেন তাহলে তিনি এ কর্মসূচির আওতায় ভোক্তা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন না।প্রতি ভোক্তা পাঁচ কেজি চাল ক্রয় করতে পারবেন এবং একজন ভোক্তা জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে সপ্তাহে মাত্র পাঁচ কেজি চাল ক্রয় করতে পারবেন।

রবিবার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার এই তিন দিন সকাল ১০ টা হতে দুপুর ৩ টা পর্যন্ত বিক্রয় কার্যক্রম চলবে।

প্রতিদিন প্রতি ডিলার এক টন করে দুই ডিলার দুই টন অর্থাৎ সপ্তাহে ছয় টন বিক্রি করা হবে। ফলে প্রতি সপ্তাহে এক হাজার দুই শত উপকারভোগী পরিবার এর আওতাভুক্ত থাকবে।

স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর বা প্রতিনিধির উপস্থিতিতে তদারকিতে বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায়।

তিনি বলেন, জেলা খাদ্য বিভাগের নির্ধারিত ডিলারের কাছ থেকে প্রতি সপ্তাহে একজন ভোক্তা ১০ টাকা কেজি দরে পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারবে। জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে এই চাল ক্রয় করতে পারবেন।

রবিবার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় এই চাল বিক্রি হবে। করোনাভাইরাসের ঘরবন্দি বেকার হয়ে পড়া দরিদ্র মানুষের জন্য সরকারের খোলা বাজারে চাল বিক্রি শুরু করেছি। একজন ভোক্তা তার জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শণ করে সপ্তাহে ১০ টাকা কেজি দরে পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারবেন। বর্তমান এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ১০ টাকা দরে খোলা বাজারে চাল বিক্রি অব্যাহত রাখা হবে বলে জানান তিনি।