পাকিস্তান সেনাবাহিনী পারভেজ মোশাররফের পাশে

পাকিস্তান সেনাবাহিনী পারভেজ মোশাররফের পাশে
পাকিস্তান সেনাবাহিনী পারভেজ মোশাররফের পাশে

পোস্টকার্ড ( আন্তর্জাতিক ) ডেস্ক ।।

সাবেক সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররফকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেয়াকে অত্যন্ত কষ্টকর ও বেদনাদায়ক বলে মন্তব্য করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।

বিশেষ আদালতের রায়ে পারভেজ মোশাররফ মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার পর মঙ্গলবার রাতে রাওয়ালপিন্ডিতে সেনাবাহিনীর জেনারেল হেডকোয়ার্টারে শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়।

এর পরই প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিবৃতি দেন পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আসিফ গফুর।

সেনাবাহিনীর দাবি, একজন সাবেক সেনাপ্রধান, জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ কমিটি চেয়ারম্যান এবং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, যিনি ৪০ বছর দেশের সেবা করেছেন, দেশকে সুরক্ষা দিতে যুদ্ধে লড়েছেন, তিনি কোনোভাবেই দেশদ্রোহী হতে পারেন না।

পাশাপাশি সেনাবাহিনী প্রশ্ন তুলেছে– বিশেষ আদালত গঠন, পারভেজ মোশাররফকে আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার না দেয়া ও তাড়াহুড়ো করে মামলা শেষ করার।

একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় মঙ্গলবার পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) পারভেজ মোশাররফের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত।

পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সাবেক সেনাপ্রধানকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হলো। তবে এটি চূড়ান্ত রায় নয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে।

পেশোয়ার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ওয়াকার আহমেদ সেঠের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চের বিশেষ আদালত মঙ্গলবার পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররফকে মৃত্যুদ-াদেশ দেন।

পাকিস্তানের একসময়কার দোর্দণ্ড প্রতাপশালী সাবেক সামরিক শাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন ইসলামবাদের আদালত। রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে তাতে এ সাজা দেয়া হয়েছে। কোনো রাষ্ট্রপ্রধানকে সর্বোচ্চ সাজা দেয়ার ঘটনায় পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথম।

এই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় পারভেজ মোশাররফ বলেছেন, আমি ভুক্তভোগী (ভিকটিমাইজ) হয়েছি। আদালতের প্রতি আস্থাহীনতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, রায় এখনও পুরোপুরি শুনিনি। তবে আমি যে ন্যায়বিচার পাব না, সেটি আগে থেকেই জানতাম। আমার প্রতি অন্যায় করা হচ্ছে।

গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের আদালত যখন সাবেক রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করে, তখন হাসপাতালের বিছানায় পারভেজ মোশাররফ। সেখান থেকে এক ভিডিওবার্তায় মোশাররফ বলেন, এই রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা একেবারেই ভিত্তিহীন।

‘আমি ১০ বছর পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দিয়েছি। আমি আমার দেশের জন্য লড়েছি। রাষ্ট্রদ্রোহের যে মামলা আমার বিরুদ্ধে দেয়া হয়েছে তাতে আমি ভুক্তভোগী। আমার প্রতি অন্যায় করা হয়েছে।

পাকিস্তানের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ডন অনলাইনের খবরে বলা হয়, সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সামরিকপ্রধান পারভেজ মোশাররফ এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্বুাইয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সাবেক সামরিক এই স্বৈরাচারী শাসকের বিরুদ্ধে পাকিস্তানে ২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর জরুরি অবস্থা জারির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়। মামলাটি ২০১৩ সাল থেকে চলে আসছে।