আউটার রিং রোড উদ্বোধন হচ্ছে শীঘ্রই

অভ্যন্তরীণ রুট ব্যবহার করবে না ইপিজেডমুখি ভারী গাড়ি , নগরীর সড়কে যানজট কমবে

আউটার রিং রোড উদ্বোধন হচ্ছে শীঘ্রই
আউটার রিং রোড উদ্বোধন হচ্ছে শীঘ্রই

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

বাংলাদেশ সরকার ও জাইকার যৌথ উদ্যোগে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) বাস্তবায়নাধীন আউটার রিং রোড প্রকল্পের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। যান চলাচলের জন্য প্রকল্পটির কিছু অংশ ইতিমধ্যে চালু হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে কয়েকদিনের মধ্যেই প্রকল্পটির উদ্বোধন হবে। এজন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে। প্রকল্পটি সম্পূর্ণ চালু হলে নগরীর যানজট কমবে।

প্রকল্প পরিচালক ও সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামস বলেন, আউটার রিং রোড আমরা শিঘ্রই উদ্বোধন করবো। আগামী সপ্তাহ-দশদিনের মধ্যে উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। সকল কাজ শেষ হয়েছে। সামান্য কিছু কাজ বাকি আছে, উদ্বোধনের আগে সেগুলোও শেষ হয়ে যাবে।

উপকূলীয় বাঁধ কাম আউটার রিং রোড প্রকল্পের আওতায় ১৭ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হয় ফৌজদারহাট থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত। এরমধ্যে ১৫ দশমিক ২০ কিলোমিটার মূল সড়ক এবং ২ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক রয়েছে। সড়কটি সরাসরি কর্ণফুলী ট্যানেলে গিয়ে যুক্ত হয়েছে। আউটার রিং রোড চালু হলে ইপিজেডমুখি ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান এবং লরি নগরীর অভ্যন্তরীণ রুট ব্যবহার করবে না। ফলে অনেকটাই যানজটমুক্ত হবে নগরীর সড়কগুলো। সড়কটি দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অর্থনৈতিক জোন থেকে বন্দরে সহজে পণ্য পরিবহন করা যাবে। আর ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক দিয়ে কক্সবাজারমুখি গাড়ি ট্যানেল হয়ে নদীর দক্ষিণ পড়ে যেতে পারবে। এতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে গতিশীলতার পাশাপাশি পর্যটকও বাড়বে। একইসঙ্গে শহর রক্ষা বাঁধ হিসেবেও কাজ করবে আউটার রিং রোড। সড়কটি অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের মূল চালিকাশক্তিতে পরিণত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামস বলেন, ট্রাফিক বিভাগের সাথে আমাদের কথা হয়েছিল আউটার রিং রোড খুলে দেয়ার পর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু করার। সড়কটি চালু হলে বন্দরের মূল সড়কের উপর চাপ কমবে। তখন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজেও কোনো সমস্যা হবে না।

জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) ২০০৫ সাল থেকে পতেঙ্গা হতে ফৌজদারহাট পর্যন্ত বেড়িবাঁধ কাম আউটার রিং রোড নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করে। যাচাই শেষে জাইকা ২০০৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে। শুরুতে এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৮৬৫ কোটি ২৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। দুই বার সংশোধনের পর বর্তমানে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৪২৬ কোটি ১৪ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ১ হাজার ৭২০ কোটি ১১ লাখ ৮০ হাজার ও জাইকার সহায়তা ৭০৬ কোটি টাকা। প্রকল্পটির কাজ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার কথা ছিলো।