সীতাকুণ্ডের গরম পানির ঝর্ণা ও রহস্যময় অগ্নিকুণ্ড

সীতাকুণ্ডের গরম পানির ঝর্ণা ও রহস্যময় অগ্নিকুণ্ড
সীতাকুণ্ডের গরম পানির ঝর্ণা ও রহস্যময় অগ্নিকুণ্ড

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।। 

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের প্রতিটি জায়গা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। ঢাকা চট্টগ্রাম হাইওয়ে রোড থেকে পূর্বদিকে গেলে পাহাড়ে পাহাড়ি কন্যা সেজেছে তার নিজস্ব রূপে এবং হাতছানি দিয়ে ডাকছে, যেন তার রূপ আর পাহাড়ি ঝর্ণার পানি দিয়ে প্রতিটি মানুষের মনের সকল দুঃখ বেদনা শীতল করে মনকে সতেজ ও প্রফুল্ল রাখতে পারে। অন্যদিকে পশ্চিম দিকে গেলে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ আর সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক দৃশ্য এই যেনো মনের উথাল- পাতাল ঢেউ তীরে এসে মিলিয়ে যাচ্ছে আর মনকে স্নিগ্ধ ও শীতল করে তুলছে।

প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্যে ভরপুর সীতাকুণ্ড। সবুজের সমারোহ আর প্রাচীন ঐতিহ্যের জন্য বিখ্যাত সীতাকুণ্ডের দর্শনীয়স্থান সমূহ। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শত বছরের পুরনো ঐতিহাসিক স্থান দেখতে ছুটে আসেন পর্যটকরা।

তাছাড়া কৃষি প্রধান অঞ্চল এবং বিশ্বের মধ্যে বৃহত্তম জাহাজ ভাঙা শিল্প থাকায় অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ সীতাকুণ্ড। এখানকার বিভিন্ন পর্যটন স্থান নতুন এবং পুরাতন মিলে ধীরে ধীরে পর্যটক মুখর হয়ে উঠেছে।

একদিকে, প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ পাহাড় অন্যদিকে বিশাল সাগরের জলরাশি। অবসর সময়ে একা কিংবা পরিবার নিয়ে অধীর আগ্রহে পর্যটকরা ঘুরতে আসেন এখানে। কিন্তু মুগ্ধ করা পর্যটন স্থানগুলোতে স্থানীয় ও দেশ বিদেশের পর্যটক পরিদর্শন করলেও কিছু রয়ে যায় অগোচরে। তেমনি একটি সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থিত অগ্নিকুণ্ড ও গরম পানির ঝর্ণা। বাংলাদেশের একমাত্র গরম পানির ঝর্ণা ও রহস্যময় অগ্নিকুণ্ড মন্দির রয়েছে বাড়বকুণ্ড পাহাড়ি এলাকায়।

দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য দেখার যাদের আগ্রহ এবং দুর্গম পাহাড়ি পথ পাড়ি দিতে যারা ইচ্ছা পোষণ করে তাদের জন্য বাড়বকুণ্ড অগ্নিকুণ্ড গ্রহণযোগ্য।শাপলা ফুলের বিল ও ঠাণ্ডা পানির খাল প্রকৃতির সৌন্দর্য্য উপভোগ্য করে তুলতে সক্ষম। বিস্তৃত পাহাড়ি এই অঞ্চলে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফলের বাগান।তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সীতাকুণ্ডের বিখ্যাত পেয়ারা বাগান ও ঔষধি গাছ। হিন্দু সম্প্রদায়ের পবিত্র তীর্থস্থান হিসেবে বিবেচিত অগ্নিকুণ্ড মন্দির। মন্দিরকে ঘিরেই চারদিকে ছড়িয়ে আছে শত বছরের পুরনো বিভিন্ন স্থাপত্য। রহস্যময় অগ্নিকুণ্ড পরিদর্শনে সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ডে লক্ষ লক্ষ পর্যটক ভীড় জমায়।

লোক মুখে শোনা যায়, অগ্নিকুণ্ডে সীতার বনবাসের কাহিনী। শুধু ধর্মীয় উদ্যেশ্যে নয় সবুজের গালিচায় মোড়ানো আঁকাবাঁকা পথ পাড়ি দিতে দেখা যায় পর্বতারোহীদের।দিন রাত ২৪ ঘণ্টা অবিরত জ্বলতে থাকা অগ্নিকুণ্ড পর্যটক ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান আকর্ষণ। রয়েছে ঝর্ণা ও শিবলিঙ্গ মন্দির যেখানে ভক্তদের পূজা করতে দেখা যায়। যেভাবে আপনি বাড়বকুণ্ডের অগ্নিকুণ্ডে যাবেন।

সীতাকুণ্ড বাসস্ট্যান্ড থেকে বাড়বকুণ্ড বাজারে আসতে হবে।সেখান থেকে সিএনজি বা অটোরিকশাযোগে বিশ টাকার গাড়ি ভাড়ায় মাটির পথ পর্যন্ত যেতে হয়। মাটির রাস্তা থেকে ২৫ মিনিট সময় লাগবে অগ্নিকুণ্ড পৌঁছতে। তবে ভ্রমণে নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সন্ধ্যার সময় না যাওয়া উত্তম।