'শেখ হাসিনা' হিরো অব দ্য ইয়ার

'শেখ হাসিনা' হিরো অব দ্য ইয়ার
শেখ হাসিনা

পোস্টকার্ড ডেস্ক।।

প্রাণঘাতী মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে যখন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, জীবন-জীবিকার অনিশ্চিত যাত্রায় বিশ্বজুড়ে সংকটময় পরিস্থিতি তখন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামনে থেকে প্রশংসনীয় সফল ও দৃঢ়চেতা নেতৃত্ব দিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের জীবন-জীবিকার চাকা সচল রাখতে একের পর এক সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন। লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যে সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সহায়তায় জনগণের জীবন ও জীবিকার চাকা সচল রাখতে প্রণোদনা প্যাকেজসহ উদ্দীপনা ও সাহস জুগিয়েছেন। জনগণের মাঝে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে নেতাকর্মীদের উদ্দীপ্ত করেছেন। তাই করোনাকালে দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিভিন্ন সংস্থা ও গণমাধ্যম তার নেতৃত্ব প্রশংসিত হয়েছে। আর এ কারণেই নেতৃত্ব ও মানবিকতার সফল সাহসী আস্থার প্রতীক ‘হিরো অব দ্য ইয়ার’ শেখ হাসিনা।

সরকার পরিচালনার তার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতাসীন। আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসাবে দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতা ও দুরদর্শী নেতৃত্বগুণে সামনে থেকে করোনা সংকট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ-সংকটে সবদিক সামলিয়ে আরও একটি সফল বছর অতিবাহিত করলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

করোনার সংক্রমণ রোধে সীমিত আকারে মুজিবর্ষ পালন

বাংলাদেশে ২০২০ সাল থেকে উদযাপিত হচ্ছে মুজিববর্ষ। ২০২১ সালে উদযাপিত হবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন আয়োজনে সরকার ও দলের সামনে ভিন্নমাত্রা যোগের হাতছানি। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনার আঘাতে মুজিববর্ষ পালনে ব্যতয় ঘটে। যদিও মুজিববর্ষ চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। গত বছর মহামারি করোনার সংক্রমণ রোধে জনগণের জীবন-জীবিকার সুরক্ষার নিমিত্তে মানবিক পদক্ষেপ ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার লক্ষ্যে জনসমাগমে সবধরনের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। এ কারণে সীমিত পরিসরে ভার্চুয়ালি মুজিববর্ষের কর্মসূচি পালিত হয়। একইভাবে সীমিত পরিসরে দলের দিবসভিত্তিক আলোচনা সভা ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেন শেখ হাসিনা। ফলে ফেলে আসা বছরে অধিকাংশ সময়ই গণভবনের চার দেয়ালের মাঝে সীমাবদ্ধ থেকেই তার আহ্বান ও নির্দেশনা বাস্তবায়নে ঝাঁপিয়ে পড়েন রাষ্ট্রীয় ফোর্স ও নেতাকর্মীরা। এর মধ্য দিয়ে সাহসী ও মানবিক নেতৃত্বে আরও একটি সফলতার ধাপ অতিক্রম করলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

নেতৃত্ব ও মানবিকতায় ‘হিরো অব দ্য ইয়ার’ শেখ হাসিনা

প্রমত্ত পদ্মায় দৃশ্যমান সেতু ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তর

এই করোনাকালেই বঙ্গবন্ধু কন্যার সাহসী নেতৃত্ব স্মরণ করিয়ে দেয় জাতির পিতা বঙ্গববন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ। ‘কেউ দাবায়ে রাখতে পারব না।’ এটাই আবার প্রমাণ করলেন তার কন্যা শেখ হাসিনা। করোনা, আম্পান ও বন্যার ধকল সামলে বিজয়ের মাসে পদ্মাসেতুর শেষ স্প্যানটি বসানোর কাজ শেষ হয়। প্রমত্ত পদ্মায় এখন পুর্ণাঙ্গ সেতু দৃশ্যমান। বাংলাদেশের স্বপ্নই যেন মাথা তুলে দাঁড়িয়ে গেছে পদ্মার বুকে। এছাড়াও সরকারের অন্যান্য মেগাপ্রকল্পগুলোর অগ্রগতি চলমান রয়েছে। অন্যদিকে মানবিক সহায়তা, মানবিক দৃষ্টান্তের আরেকটি সাহসী ও সফল নেতৃত্বের উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন কক্সবাজারের শরণার্থী হয়ে থাকা প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার একটি অংশকে নোয়াখালী ভাসানচরে স্থানান্তরের সফল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে।

করোনায় ৫০ লাখ পরিবারকে মানবিক সহায়তা প্রদান

করোনা মহামারিতে গত এক বছরে বিশ্ব ব্যবস্থা টালমাটাল। করোনায় প্রভাবিত বিশ্বের উন্নয়ন, অর্থনীতি এমনকি রাজনৈতিক পরিস্থিতিও। এমন শত প্রতিকূলতার মধ্যেও এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আর এই এগিয়ে যাওয়ার সামনে থেকে সরকার ও দলের প্রধান হিসেবে সাহসী নেতৃত্ব দেন শেখ হাসিনা। সারাদেশে ৫০ লাখ পরিবারকে আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মানবিক সহায়তার নতুন রেকর্ড তৈরি করেন। মানবিক সহায়তা কর্মসূচি চালুর দিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, ‘আপনি যে মানবিক সহায়তা কর্মসূচি উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন, আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি, পৃথিবীর ইতিহাসে এটি বিরল। একসঙ্গে এত মানুষের মানবিক সহায়তা পাওয়া বিরল ঘটনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর বাংলাদেশে আপনিই প্রথম এত সংখ্যক মানুষকে একসঙ্গে মানবিক সহায়তা দিলেন।’

 

নেতৃত্ব ও মানবিকতায় ‘হিরো অব দ্য ইয়ার’ শেখ হাসিনা

 

এই ৫০ লাখ পরিবারের বাইরেও আরও ৫০ লাখ পরিবারের প্রায় দুই কোটি সদস্য আগে থেকেই সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় ছিল। তারাও ভিজিএফ কার্ড, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, শিক্ষা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা হিসেবে করোনাকালে তাদের সহায়তা অব্যাহত থাকে।

করোনা মোকাবিলায় দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ

করোনার ধাক্কা আসার শুরুতেই গণভবনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী সংসদের সভা করে দলীয় নেতাকর্মীদের দিক-নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা। গণভবন বসেই সরকারি দাফতরিক সব কাজের পাশাপাশি নিয়মিত কেন্দ্র থেকে একেবারের তৃণমূল প্রশাসনের খোঁজ রাখার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন সভায় ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা বিশ্ব সম্প্রদায়কে নিয়ে এক সঙ্গে কাজ করতে বিভিন্ন উদ্যোগ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন। এধারাবাহিকতায় চীনের প্রেসিডেন্ট, ইউরোপীয় দেশসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানরা প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দেন ও কথা বলেন।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। দফায় দফায় বৃদ্ধি করা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মেয়াদ। ওই সময় অনলাইন, টেলিভিশনের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এছাড়া করোনার সংক্রমণ রোধে ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। সাধারণ ছুটি কয়েক দফা বাড়ানো হয়। সাধারণ ছুটির সঙ্গে গণপরিবহনও বন্ধ করে সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বানের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে চলতে নির্দেশ দেওয়া হয়। চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসনসহ করোনা যুদ্ধে ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদের জন্য পিপিই-মাস্কসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী নিশ্চিত করা হয়।

নেতৃত্ব ও মানবিকতায় ‘হিরো অব দ্য ইয়ার’ শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনায় স্বাস্থ্যখাতে অনিয়ম দুর্নীতি রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করে সরকার। এছাড়া করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের কেউ যদি দায়িত্ব পালনের সময় আক্রান্ত হন, তাহলে পদমর্যদা অনুযায়ী প্রত্যেকের জন্য স্বাস্থ্য ও জীবন বিমা ঘোষণা করা হয়। এ জন্য সরকার ৭৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এছাড়া গঠন করা হয় ‘জাতীয় কমিটি’ এবং কোভিড–১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। ২ হাজার ডাক্তার ও ৫ হাজার ৫৪ জন নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর আরও ৫ হাজার স্বাস্থ্য টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া হয়। এরকম নানামুখী পদক্ষেপে করোনা মহামারিতে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত ও সুরক্ষা দিতে সরকার প্রধান হিসাবে নেতৃত্ব দেন শেখ হাসিনা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্ব আর কৌশলী অবস্থানের কারণেই বাংলাদেশ আজ নব-পরিচয়ে পরিচিতি পাচ্ছে। এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে। যার স্বীকৃতিও মিলছে বিশ্ব পরিমণ্ডলেও। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক উপাচার্য প্রফেসর আবদুল মান্নান সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমার দৃষ্টিতে তিনি (শেখ হাসিনা) ২০২০ সালে সাফল্য ও কৃতিত্বের সঙ্গেই নেতৃত্ব দিয়েছেন। যদিও কোনো কোনো ব্যাপারে হয়তো কিছুটা দুর্বলতা ছিল। তারপরও সামগ্রিক দৃষ্টিতে দেখলে খুবই প্রশংসনীয় ও ইতিবাচক নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। তিনি এই করোনার মধ্যেও সুস্থ আছেন এবং আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। তার কথা শুনলে লোকে স্বস্তি পায়। আমি নিজেও পাই এবং আশা দেখি।’

আব্দুল মান্নান আরও বলেন, ‘আমাদের অর্জন কিন্তু বিশাল। সেই অর্জনে গত ১১ বছর ধরে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার অর্জন অসাধারণ এবং নেতৃত্ব অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তিনি আমাদের আস্থার কেন্দ্র বা প্রতীক। তার নেতৃত্ব অত্যন্ত প্রশংসনীয়। যদি ওইরকম ইনডিকেটর করতে চান- আমাদের হিরো অব দ্য ইয়ার করতেই পারেন, আমি ভোট দেবো।’

করোনা, বন্যা ও আম্পানে দলীয় নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে থাকার নির্দেশ

করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির মাঝেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও সারাদেশে বন্যার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। সেসময়ও সাধারণ মানুষের সহায়তায় ত্রাণ কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে তার দল ও সরকার কাজ করে। করোনা, আম্পান ও বন্যায় দলীয় সভাপতির আহ্বানে সাড়া দিয়ে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে দাঁড়ায়। ত্রাণ সহায়তা, কৃষকের ধান কেটে দেওয়া, করোনায় মৃতদের লাশ দাফন-কাফনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের মানবিক এমন কর্মকাণ্ডে করোনাকালে ভূয়সী প্রশংসাও করেন শেখ হাসিনা। নেতাকর্মীদের উদ্যোগে বিভিন্ন জায়গায় ইফতার সেহরি ও বিনামূল্যে সবজি বিতরণ এবং টেলিমেডিসিন, ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ও লাশ দাফনসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম চলমান ছিল। ইতোমধ্যে করোনায় মানুষের সেবা দিতে গিয়ে ৬১ জেলায় ৫২২ নেতাকর্মী মৃত্যুবরণ করেন।

নেতৃত্ব ও মানবিকতায় ‘হিরো অব দ্য ইয়ার’ শেখ হাসিনা
 

এসব বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। জনগণের দুর্যোগ-সংকটে, বিপদ-আপদে তাদের পাশে থাকাকেই রাজনীতি এবং দায়িত্ব মনে করে। এই করোনা, বন্যা ও আম্পানের সময় এটা আমাদের নেতাকর্মীরা প্রমাণ করেছেন। মানুষের পাশে থাকার পরীক্ষায় তারা উত্তীর্ণ হয়েছেন। আমাদের নেত্রী, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। মানুষের দুর্যোগ সংকটে পাশে দাঁড়ানোর মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’

করোনায় অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে লক্ষাধিক কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা

করোনার সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ইতোমধ্যেই বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনাও দিয়ে রেখেছেন শেখ হাসিনা। মাঠ পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, জনপ্রিতিনিধি ও রাজনীতিবিদদের মধ্যে সাহস সঞ্চারে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে সংযুক্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরাসরি কথা বলেছেন। এ সময় তিনি প্রান্তিক জনগণের পরামর্শ শোনেন এবং বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন। ১৫ মার্চ কোভিড-১৯ প্রতিরোধের লড়াইয়ে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে সার্ক নেতাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে গণভবন থেকেই যোগ দেন শেখ হাসিনা। করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে ১৯টি প্যাকেজে ১ লাখ ৩ হাজার ১১৭ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা, যা ছিল জিডিপির ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। এছাড়া তিনি ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। ওই সময় ৭২ জন জনপ্রতিনিধিকে বহিষ্কার করা হয়।

নেতৃত্ব ও মানবিকতায় ‘হিরো অব দ্য ইয়ার’ শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের একজন শেখ হাসিনা আছেন। যিনি পিতার মতো দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। পিতা যেমন বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা বুঝতেন, বাংলাদেশের জনগণ যেমন মনে করত আমরাই শেখ মুজিব; আর শেখ মুজিবও মনে করতেন আমিই বাঙালি, বাংলাদেশের জনগণ এবং আমি এক ও অভিন্ন। আজ তার তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনা সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এজন্য আমাদের সমস্ত কৃতিত্বের একমাত্র দাবিদার বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।’

সূত্র. সারাবাংলা