ধর্ম নিয়ে অপপ্রচার, কটুক্তি ও বাজে মন্তব্য বন্ধ করুন

ধর্ম নিয়ে অপপ্রচার, কটুক্তি ও বাজে মন্তব্য বন্ধ করুন
ধর্ম নিয়ে অপপ্রচার, কটুক্তি ও বাজে মন্তব্য বন্ধ করুন

পাঠক ডেস্ক ।।

ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম ব্যাচের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী তিন্নি সরকার, গত শুক্রবার ধর্ম নিয়ে যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপব্যাখ্যা এবং ইসলাম ধর্মকে নিয়ে যে অপপ্রচার, কটুক্তি ও বাজে মন্তব্য করেছে এটা সত্যি খুব হীনমন্যতার পরিচয় দেয়। একজন বিশ্ববিদ্যালয় পড়া শিক্ষার্থীর কাছ থেকে কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে এমন বেপরোয়া কথা কখনো আশানুরূপ নয়।

আমি একজন মুসলিম হিসাবে এর তীব্র প্রতিবাদ এবং নিন্দা জানায়।সে সাথে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের নিকট আহবান জানায় তাকে যেন খুব শীগ্রই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। সে সাথে সরকারের উচিত তার পিছনে কোনো মদদদাতা এবং বড় কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা।

বাংলাদেশ সম্প্রদায়িক সম্প্রতির দেশ,এদেশের সৃষ্টি লগ্ন হতে সকল ধর্মের মানুষ একসাথে সব আন্দোলন – সংগ্রাম এবং নিজ নিজ ধর্মের উৎসব পালন করে আসছে।বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম হলেও এখানে সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার রয়েছে এবং ইসলাম আমাদের এই শিক্ষা কখনো দেয় নাই, অন্য ধর্মের প্রতি তোমরা জুলুম, অবিচার কর।যদিও বিশ্বের অনেক দেশে ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের প্রতিনিয়ত অসম্মান, অত্যচার-নির্যাতন, জুলুম এবং নানাক্ষেত্রে অহেতুক ভাবে দোষারোপ করা হয় তা সত্বেও বিশ্বের মুসলমান সম্প্রদায় এখনো শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।

বর্তমান সময়ে এসেও যদি এখনো জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র এসব নিয়ে বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষদের প্রতিনিয়ত নিজেদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন – সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হয় এটা খুব দুঃখজনক বিষয়। বিশ্ব নেতাদের এখনই উচিত এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা এবং আগামীর সুন্দর- সাবলীল বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তোলা।

ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে, পশ্চিমা বিশ্বের অনেক দেশ সাম্প্রতিক আগ্রাসন মূ্লকভাবে ইসলামের বিপক্ষে উঠে পড়ে লেগেছে। ইতিমধ্যে ফ্রান্স সরকার প্রত্যক্ষভাবে নিজ ভূখণ্ডে ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে।

এখনি সময় এসেছে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ ভাবে ইসলামের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা।ইসলাম শান্তির ধর্ম সুতরাং আমাদেরকে আঘাত করলে শুধু আমরা তার প্রতিঘাত এবং প্রতিরোধ করব তাছাড়া নয়।তাই সকলে ভবিষ্যৎ পৃথিবীর জন্য একসাথে ইসলামের মধ্যে একাগ্রতা প্রকাশ করতে হবে।

লিখেছেন-
মাহির আমির মিলন
শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়