ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের প্রতিটি দল সমান একটি করে কাউন্সিলরশিপ পাবে

ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের প্রতিটি দল সমান একটি করে কাউন্সিলরশিপ পাবে
ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের প্রতিটি দল সমান একটি করে কাউন্সিলরশিপ পাবে

ক্রীড়া প্রতিবেদক ।।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) কাউন্সিলরশিপ হিসেবে রদবদল এসেছে। এখন থেকে ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের প্রতিটি দল সমান একটি করে কাউন্সিলরশিপ পাবে। অর্থাৎ ঢাকার সব ক্লাবের ভোট সমান একটি করে।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে বিসিবির এজিএম অনুষ্ঠিত হয়েছে। এজিএমে কাউন্সিলরশিপ নিয়মের রদবদল চূড়ান্ত হয়েছে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

২০১৩ সালের সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগের ছয়টি দল থেকে দুজন করে প্রতিনিধি ভোট দেওয়ার সুযোগ পেত। বাকি ছয় দল থেকে কাউন্সিলশিপ পেতেন একজন করে। এখন থেকে সব দলে কাউন্সিলর একজন। প্রথম বিভাগে অংশগ্রহণকারী ২০টি ক্লাবের প্রতিটির জন্য একজন করে কাউন্সিলরশিপের বিধান ছিল, প্রথম বিভাগের ক্ষেত্রে নিয়মের রদবল আসেনি। সব দলের একজন করে কাউন্সিলরশিপের বিধান বহাল রাখা হয়েছে।

আগে দ্বিতীয় বিভাগের ২৪ ক্লাবের মধ্যে সুপার লিগে উন্নীত হওয়া ১২টি ক্লাব একজন করে কাউন্সিলরশিপ পেত। নতুন সিদ্ধান্তে দ্বিতীয় বিভাগের ২৪ ক্লাবই একজন করে কাউন্সিলরশিপ পাবে। তৃতীয় বিভাগের ২০ ক্লাবও এখন থেকে একজন করে কাউন্সিলরশিপ পাবে। আগে তৃতীয় বিভাগের ২০ ক্লাবের মধ্যে সুপার লিগে উন্নীত আটটি ক্লাব পেত একজন করে কাউন্সিলরশিপ।

আজ এজিএম শেষে নাজমুল হাসান পাপন সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রিমিয়ার লিগে অনেক দল ছিল যাদের কারও কারও কাউন্সিলরশিপ ছিল না। আবার কারও একাধিক ছিল। প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগের ক্লাবগুলোর যেমন দুটি করে ছিল। আজ এজিএমে পাশ করা হয়েছে, আমরা প্রত্যেকটা ক্লাবকে সমান সংখ্যক কাউন্সিলরশিপ দেবো।’

এমন সিদ্ধান্তে প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ দলগুলো সন্তুষ্ট হওয়ার কথা না, কারণ তাদের কাউন্সিলর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। পাপন বলছেন, বৃহৎ স্বার্থে সকলের এই সিদ্ধান্তকে সাদুবাদ জানানো উচিত।

পাপন বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম আবাহনী, মোহামেডান বাদে শক্তিশালী দল হোক। এখন প্রত্যেকটা ক্লাবই শক্তিশালী। প্রতিবার তো আবাহনী-মোহামেডান ফাইনাল খেলে না। এখন নতুন নতুন দল আসছে। প্রাইম ব্যাংক, শেখ জামাল, রূপগঞ্জ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এটাই তো আমাদের লক্ষ্য ছিল। এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট এমন একটা জায়গায় এসেছে ক্লাবগুলোর প্রত্যেকটিকে একটি করে কাউন্সিলরশিপ দিলে কারও কোনো ক্ষোভ থাকার কথা না। বরং সবার খুশি হওয়ার কথা। ওখানে যারা ছিল, প্রত্যেকেই এটাকে স্বাগত জানিয়েছে এবং খুশি হয়েছে। তবে যাদের কাউন্সিলরশিপ কমেছে, তারা তো সন্তুষ্ট হওয়ার কথা না।’

এছাড়া এজিএমে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার প্রস্তাব পাশ হয়েছে। রাজশাহী, সিলেট, ময়মনসিংহ, বরিশাল, ঢাকা, রংপুর, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের কাউন্সিলর-পরিচালকদের নিয়ে গঠিত হবে আটটি আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা। বড় বিভাগগুলোর জন্য ১৭ জন সদস্য ও ছোট বিভাগগুলোর জন্য ১১ জন সদস্য থাকবেন ক্রিকেট সংস্থায়।

নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘এত দিন আমরা ঢাকা থেকে সব নিয়ন্ত্রণ করে এসেছি। এখন ঢাকা থেকে বিভাগে যাচ্ছি। জেলায় তো আমাদের আরও কম নিয়ন্ত্রণ ছিল। এখন এর কার্যক্রম শুরু হয়ে গেল, এসব ক্ষেত্রে আমরা আরও ভালো করতে পারব। আশা করছি আমাদের পরবর্তী বোর্ড সভার আগেই কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে।’

খালেদ / পোস্টকার্ড ;