জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ জয় পেল সহজেই,রেকর্ড গড়া জয় টাইগারদের

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ জয় পেল সহজেই,রেকর্ড গড়া জয় টাইগারদের
ছবি: বিসিবি

মোহাম্মদ জিল্লুর চৌধুরী , সিলেট ।।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ জয় পেল সহজেই। প্রথমে দুর্দান্ত ব্যাটিং। এরপর বোলারদের কাছ থেকেও এল প্রত্যাশিত নৈপুণ্য। প্রতিপক্ষের বিপক্ষে রেকর্ড সংগ্রহ গড়ে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়টাই পেল মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার দল।

মাশরাফীর দীর্ঘ অপেক্ষার ম্যাচটা জায়গা করে নিলো বাংলাদেশ ক্রিকেটের রেকর্ড বইয়ে।

এর আগে সর্বোচ্চ ১৬৩ রানের ব্যবধানে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিল টাইগাররা ঢাকায়। এরপর এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ১৪৫ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। আজ এই দুই রেকর্ডও ছাড়িয়ে গেল মাশরাফীরা। ১৭০ রানে হারালো জিম্বাবুয়েকে।

স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে পূর্ণাঙ্গ সফরে এসে ঢাকায় একমাত্র টেস্টে হেরেছে ইনিংস ও ১০৬ রানের ব্যবধানে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে এসেছে সিলেট। রোববার (১ মার্চ) সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে সিলেটের মাঠে সর্বোচ্চ রান করে স্বাগতিকরা।

লিটন দাসের ১২৬ রানের অপরাজিত ইনিংস (রিটায়ার্ড হার্ট), মোহাম্মদ মিঠুনের ৫০, নাজমুল হাসান শান্তর ২৯ ও শেষদিকে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ১৫ বলে ২৮ রানের ইনিংসে ভর করে ৬ উইকেটে ৩২১ রান তুলে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় জিম্বাবুইয়ানরা। শুরুটা দীর্ঘ পাঁচ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা সাইফউদ্দিনের হাতে ওপেনার তিনাশে কামুনহুকাওয়ামাহর স্ট্যাম্প উপড়ে।

এরপর দুই নম্বরে ব্যাট করতে নামা রেগিস চাকাবাকে ফেরান সাইফউদ্দিনই। চাকাবাকে ফেরান ১১ রানে। আরেক ওপেনার চামু চিবাবাকে ফিরিয়ে দীর্ঘ ৯ মাসের উইকেট খরা গুছান মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। চাকাবাকে ফিরিয়ে অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফী পূর্ণ করেন ৯৯ উইকেট।

বাকিদের আসা যাওয়ার মিছিলে দলের সবচেয়ে কনিষ্ঠ ব্যাটসম্যান ওয়েসলে মাধবেরের ব্যাটে। মাত্রই অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলা মাধভেরে অভিষেক ম্যাচেই খেলেছেন দলের সর্বোচ্চ ৩৫ রানের ইনিংস।

মাধভেরে ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি, সাজঘরে ফিরতে হয়েছে মেহেদী মিরাজের বলে মাশরাফীর হাতে ক্যাচ দিয়ে।

কিন্তু বাকিদের ব্যর্থতায় ১৫২ রানেই শেষ হয় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। ৯৯ উইকেটে আঁটকে থাকা মাশরাফী জিম্বাবুয়ের শেষ উইকেট টিনোটেন্ডা মুতুমবদজিকে ফিরিয়ে পূর্ণ করেন ১০০ তম উইকেট। অধিনায়ক হিসেবে ইমরান খান, ওয়াসিম আকরাম, শন পলক ও জেসন হোল্ডারের সঙ্গে এক কাতারে নাম লেখালেন টাইগার অধিনায়কও।

গ্যালারি থেকে তার নামের গগনবিদারী চিৎকার হলেও হতাশ হতে হলো দর্শকদের। স্ট্রাইকই পাননি মাশরাফি! পরে বল হাতেও হতাশ করেছিলেন তিনি। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে খরুচে ছিলেন। শেষ দিকে স্বস্তির উইকেটটি নিয়ে এই মাশরাফিই গুটিয়ে দেন জিম্বাবুয়েকে। নিশ্চিত করেন ওয়ানডে ইতিহাসে নিজেদের সর্বোচ্চ জয়ের।

টাইগারদের আগের জয়টি ছিল ১৬৩ রানের। ২০১৮ সালের শুরুতে মিরপুলে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয়টি পেয়েছিল বাংলাদেশ। আজ নিজেদের ছাড়িয়ে নতুন ইতিহাস লিখলেন মাশরাফিরা। দুর্দান্ত এই জয়ের নায়ক সেঞ্চুরিয়ান লিটন।