করোনা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে যে ৪ জিনিসে

করোনা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে যে ৪ জিনিসে
করোনা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে যে ৪ জিনিসে

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারির এই সময়ে সবচেয়ে জরুরি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি। যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যত বেশি, করোনার সময়ে তার ঝুঁকিও তত কম।

আসুন জেনে নিই, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, এমন ৪ জিনিস কী কী!

হলুদ:
আয়ুর্বেদ অনুসারে হলুদ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। এমনকি এতে রোগ নিরাময়ের প্রচুর বৈশিষ্ট্যও রয়েছে।

তাছাড়া হলুদ সহজেই পাওয়া যায়। এটি রঙ করার পাশাপাশি খাবারে স্বাদ যোগ করতেও ব্যবহার করে থাকি আমরা। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে এবং রক্ত ​​প্রবাহকে উন্নত করে।

টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, হলুদের কারকিউমিন আমাদের দেহকোষের জন্য একটি শক্তিশালী ইমিউনো মডুলেটর এজেন্ট (রোগ প্রতিরোধ বাড়িয়ে তোলা) হিসেবে কাজ করে।

বাত, অ্যালার্জি, হাঁপানি, হৃদরোগ, আলঝাইমার রোগ এবং ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যও কারকিউমিনের উপকারী প্রভাব রয়েছে। শুধু তাই নয়, হলুদের রয়েছে ক্যান্সার বিরোধী বৈশিষ্ট্যও।

রসুন:
রান্নাঘরের মধ্যে সর্বাধিক উপলভ্য ওষুধগুলোর একটি হচ্ছে রসুন। এটিতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

আপনার প্রতিদিনের খাবারে রসুনের একটি কোয়া যুক্ত করতে পারেন। এটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রচুর পরিমাণে বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতেও এটি খুবই কার্যকরী।

ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা থেকে জানা গেছে, রসুনের নির্যাস শরীরের প্রতিরোধক কোষের ক্রিয়াকলাপকে বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং সর্দি-ফ্লু’র তীব্রতা হ্রাস করার জন্য এটি কাজ করে থাকে।

আদা:
আরেকটি সাধারণ ওষুধি জিনিস হচ্ছে আদা। খাবারে দুর্দান্ত স্বাদ যোগ করতে এবং অনেকের কাছে চায়ের অনুসঙ্গ হিসেবেও এটি পছন্দ।

আদা প্রদাহ হ্রাস করে এবং এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলো আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী রাখে। এটি খেলে বমি বমি ভাব চলে যায়। পেটের নানাবিধ রোগ প্রতিরোধ করে।

অশ্বগন্ধা:
আয়ুর্বেদ অনুসারে, অশ্বগন্ধা প্রদাহ হ্রাস এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। পোল্যান্ডের ন্যাশনাল কলেজ অফ ন্যাচারাল মেডিসিনের এক সমীক্ষা অনুসারে, অশ্বগন্ধার মানবদেহের কোষে চার ধরনের ইমিউনোলজিক প্রভাব রয়েছে।

এটি মনে করা হয়ে থাকে যে, অশ্বগন্ধা কর্টিসলের মাত্রা কমিয়ে শরীরের স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।