আজানের ধ্বনি শোনা গেল পাঁচ শ’ বছর পরে স্পেনে

আজানের ধ্বনি শোনা গেল পাঁচ শ’ বছর পরে স্পেনে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।

পাঁচ শতাব্দী পেরিয়ে গেছে, স্পেনে মানবকণ্ঠে নামাজের আহ্বান অর্থাৎ আজান শোনেনি মানুষ। স্পেনে আজানের এক ভিডিও ফুটেজ অতি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ইউটিউবে শেয়ার করা ভিডিওতে কিছু মুসলমানকে তাদের ঘরের জানালার পাশে দাঁড়িয়ে উচ্চস্বরে আজান দিতে দেখা যায়। উল্লেখ্য স্পেনে আজান নিষিদ্ধ ছিল।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরে, এটির সত্যতা যাচাই করে জানা যায় যে স্পেনের আইন পাঁচবার দৈনিক প্রার্থনার জন্য মানবকণ্ঠে আজান দিতে লাউডস্পিকারের ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। ভিডিওটি রাজধানী মাদ্রিদের লাভাপিজ নামে একটি এলাকা থেকে এসেছে।
স্পেনে মারাত্মক করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের পর এখানকার লোকজন সংবেদনশীল হয়ে ওঠেছে। তারা এমন কিছু তথ্য প্রচার শুরু করেছে যা কখনও কখনও বিভ্রান্তিকর হয়। স্পেনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা সাড়ে ছয় হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার।
উমাইয়া রাজবংশ প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে স্পেনে মুসলিম স্থিতিশীলতা এসেছিল। সেসময় পশ্চিম ইউরোপীয় দেশটি মুসলিম নিয়ন্ত্রিত ছিল। উমাইয়া রাজবংশের অধীনে, স্পেন ছিল ইউরোপের সবচেয়ে ধনী অংশ। গ্রেনাডা ও কর্ডোবার মতো মুসলিম শহরগুলি এই বৈজ্ঞানিক বিকাশের একটি প্রধান কেন্দ্র হিসাবে কাজ করেছিল।
বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্পেনের মুসলিম আমলকে একটি স্বর্ণযুগ হিসাবে বর্ণনা করা হয় এবং কখনও কখনও ধর্মীয় এবং জাতিগত সহনশীলতার একটি স্বর্ণযুগ হিসাবে বর্ণনা করা হয়। মুসলমান এবং অমুসলিম উভয়েই সংস্কৃতির এই বিকাশে বড় অবদান রেখেছিল।
একজন লেখক কর্ডোবা সম্পর্কে লিখেছেন- এখানে অর্ধমিলিয়ন মানুষ ১ লাখ ১৩ হাজার বাড়িতে বাস করত। শহর ও শহরতলিতে ৭০০টি মসজিদ ছিল। পরবর্তীতে স্পেনের রাজত্ব মুসলিমদের হাতছাড়া হলে সেখানে আজান নিষিদ্ধ হয়।