অনেক কিছুই পাব বোর্ড থেকে এটা ভেবে খেলতে যাইনি -সংবাদ সম্মেলনে আকবর আলী

অনেক কিছুই পাব বোর্ড থেকে এটা ভেবে খেলতে যাইনি -সংবাদ সম্মেলনে আকবর আলী

ক্রীড়া ডেস্ক ।।

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের নেতা আকবর আলী অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েই যাচ্ছেন। বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে মাথা ঠান্ডা রেখে চাপ কাটিয়ে দলকে অধরা বিশ্বকাপ এনে দিয়েছেন। কথা-বার্তায় পরিণত আকবর জানালেন, বোর্ড থেকে অনেক কিছুই পাব এটা ভেবে খেলতে যাইনি।

আজ বুধবার রাতে শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লাল গলিচা সংবর্ধনার পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আকবর বলেন, ‘প্রত্যাশা যেটা, আমরা ক্রিকেট বোর্ড থেকে যেটা পাব তার জন্য তাদের আগে থেকে ধন্যবাদ দিয়ে রাখছি। কিন্তু আমরা সে রকম কোনো প্রত্যাশা নিয়ে খেলতে যাইনি যে আমরা বোর্ড থেকে এটা নিবো বা ওটা নিবো।  যখন ওয়ার্ল্ড কাপে গিয়েছি তখন ফাস্ট টার্গেটটাই ছিল যে, ফাইনালটা খেলতে হবে আমাদেরকে।‘

দেশ থেকে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি শর্ত দিয়েছিলেন সেমিফাইনাল খেলার। তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েই দেশেই ফিরেছে। স্বভাবতই অনেক খুশি দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি। আকবরদের অনূর্ধ্ব ২১ ইউনিট করে আলাদাভাবে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। এই দুইবছর তারা এই ইউনিটে থেকে নানা ট্রেনিং হতে শুরু ক্রিকেটের নানা কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। দুই বছর প্রত্যেকেই এক লাখ টাকা করে পাবে।

বিসিবির এমন পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়ে আকবর আলী বলেন, ‘আমি মনে করি যে অনূর্ধ্ব-১৯ বা বয়স ভিত্তিক ক্রিকেটের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বা সিনিয়র লেভেলের ক্রিকেটের একটা বিরাট ব্যবধান রয়েছে। আশা কবব যে বোর্ড আমাদের নিয়ে যে পরিকল্পনাগুলো সাজাবে সেখানে নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে যে ব্যবধানটা রয়েছে সেটা যতটা দ্রুত সম্ভব কমানো যায় আমরা সে চেষ্টা করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কোনো সময়ই সহজ না। আমাদের প্রথম টার্গেটই থাকবে পরকর্তী কয়েক বছর বা মাসে যতটা সম্ভব মানসিক ও স্কিল দুটো দিক থেকে যতটা সম্ভব ওই গ্যাপটার কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করব। এটাই টার্গেট থাকবে।’

সংবাদ সম্মেলনের আগে কেক কেটে বিজয় উদযাপন করে ক্রিকেটাররা। তার আগে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয় বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। এ সময় বিশ্বকাপের ট্রফি উঁচিয়ে ধরেন পাপন ও যুবা অধিনায়ক আকবর আলী।

আজ বিকেল ৪টা ৫৫টা মিনিটে যুবাদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়ে আসা হয় মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে।